ডেনমার্কে চালু হচ্ছে মোবাইল পোস্টেজ সার্ভিস। এই পোস্টেজ সার্ভিসের সুবিধা হচ্ছে, চিঠির খামে স্ট্যাম্প লাগানো বদলে কেবল মোবাইলে পাওয়া একটি মেসেজ কোড লিখলেই চলবে। স্ট্যাম্প নেবার বদলে পোস্ট অফিসে একটি মেসেজ পাঠিয়ে ফিরতি মেসেজ হিসেবে পাওয়া কোডটি স্ট্যাম্প বসানোর স্থানে লিখে দিতে হবে । খবর বিবিসি অনলাইন-এর।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই সার্ভিসটি চালু হচ্ছে। কেবল ৫০ গ্রাম ওজনের চিঠিতে এই সার্ভিসটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবার কথা থাকলেও পরবর্তীতে ২ কেজি ওজনের পার্সেলের ক্ষেত্রেও এটি চালু হবে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, মোবাইল পোস্টেজ সার্ভিসে স্ট্যাম্পের দাম মোবাইল ব্যালান্স থেকে কেটে নেয়া হবে।
সম্প্রতি মেক্সিকোর গবেষকরা নতুন এক ধরনের সিমেন্ট উদ্ভাবন করেছেন যা পরিবেশবান্ধব। গবেষকদের মতে, এই সিমেন্ট উৎপাদনের সময় শতকরা ৮০ ভাগ কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ কমাবে এবং শক্তি শতকরা ৫০ ভাগ কম খরচেই উৎপাদিত হবে। খবর ইন্দো-এশিয়ান নিউজ সার্ভিস-এর।
রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভান্সড স্টাডিজ সেন্টার (সিনভেস্টাভ)-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, গত ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সিমেন্ট উৎপাদন বিষয়ে গবেষণা করছেন তারা। আর এই গবেষণার ফল হলো টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব এই সিমেন্ট তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, জনসংখ্যার ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে পানির পরে বর্তমানে সিমেন্টই হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রয় পণ্য। এখন অবকাঠামো, ঘরবাড়ি তৈরির প্রধান উপকরণই হচ্ছে সিমেন্ট। আর সিমেন্ট ব্যবহারের ব্যাপকতার কারণে পরিবেশের ওপর পড়ছে বিরূপ প্রভাব।
গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পোর্টল্যান্ড সিমেন্টের বিকল্প খুঁজতেই এই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১ কেজি সিমেন্ট উৎপাদনে ১ কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সিমেন্ট তৈরির প্রক্রিয়ায় কয়লা পুড়িয়ে চুনাপাথরকে তাপ দেবার ফলে তা সাড়ে ১৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়। এর ফলে ক্লিংকার নামের যৌগ তৈরি হয়। এই ক্লিংকারের সঙ্গে জিপসাম মিশিয়ে এবং পরে তা গুড়া করে তৈরি হয় সিমেন্ট।
গবেষকদের মতে, সিমেন্ট তৈরির এই প্রক্রিয়া ছাড়া তাদের উদ্ভাবন করা পদ্ধতিতে জিওপলিমার ব্যবহার করা হয়। এতে তাপমাত্রা তৈরি হয় কেবল ৭৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই এই পদ্ধতিতে তৈরি সিমেন্ট প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে পরিবেশবান্ধব।
ডিজিটাল বাংলাদেশের সাইবার জানালা গলে ঢুকে পড়ছে প্রতারণার নিত্যনতুন কৌশল। অনলাইন প্রতারণার ফাঁদ পাতা পুরো সাইবার বিশ্বে। বাংলাদেশেও সম্প্রতি এমনই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে পড়েছে। ডিভি লটারি এবং ফেসবুক লটারির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। সম্ভাব্য সুযোগ এবং অর্থের হাতছানি দিয়ে মেইলের ইনবক্স ভর্তি হচ্ছে স্প্যাম মেইলে। একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে সহজেই বোঝা যাবে ইনবক্সে আসা এসব মেইল কেবলই স্প্যাম।
সম্প্রতি অনেকের কাছেই এসেছে ডিভি লটারি জেতার মেইল। আর সচেতনতার অভাবে প্রতারকদের ফাঁদে পড়ার শংকা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে ফেসবুক এবং ডিভি লটারির জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে এইসব প্রতারণার জাল বিস্তার করছে অপরাধীরা।
ডিভি লটারি’র মুলো
‘স্বপ্নের দেশ’ আমেরিকায় যাওয়ার রাস্তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রবর্তিত ডাইভারসিটি ভিসা লটারি বা ডিভি লটারি নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের উন্মাদনার শেষ নেই। এই উন্মাদনাকেই কাজে লাগিয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য জনপ্রিয় যোগাযোগ সাইটে প্রতারণার ফাঁদ পাতা রয়েছে। ফাঁদটি মূলত এমন: হঠাৎ করেই একদিন আপনার ইনবক্সে খুঁজে পাবেন কেতা দুরস্ত ভাষার অপরিচিত ঠিকানার এক ইমেইল। সেখানে লেখা, আপনি সেইসব গুটিকয় ভাগ্যবানদের একজন, যারা ডিভি লটারি জিতে আমেরিকা যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগটি পেয়ে গেছেন । ভিসা প্রসেসিং এবং অন্যান্য দাপ্তরিক জটিলতা বাবদ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের ডলার আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে হবে এবং সেজন্য প্রয়োজন আপনার ক্রেডিট কার্ড নাম্বার বা অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং এর পাসওয়ার্ড। তবে, জানার বিষয়, আমাদের দেশে খুব কম লোকেরই অনলাইনে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কিন্তু প্রতারকদের তাতে সমস্যা হয় না। অনলাইন অ্যাকাউন্ট না থাকার কথা জানালে তারা নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডলার পাঠানোর জন্য তাগাদা দেন। কারণ এই সব মেইল আন্তর্জাতিক কিছু প্রতারকচক্রের আপনার টাকা হাতিয়ে নেবার কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়।
এমনই একটি মেইলের নমুনা দেখুন এই লিংক-এ
সংবাদমাধ্যম সিনেট-এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে ঠিকানা থেকে ডিভি জেতার মেইলটি আসে সেটি হলো gov.states@usa.com। যুক্তরাজ্যের গ্রিন কার্ড পাবার মুলো দেখিয়ে অর্থ পাঠাতে বলা এই সাইটটি মুলত একটি স্প্যাম। আর এই স্প্যাম মেইলের অনেক রকম নমুনাও আছে। বিভিন্নজনের কাছে আসা এমন মেইল এবং অভিযোগ বিশ্লেষণ করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ডিভি লটারির মাধ্যমে গ্রিন কার্ড পাঠানোর পদ্ধতিটি এই মেইলে আসা পদ্ধতিটির মতো আদৌ নয়। এমনকি গ্রিন কার্ড পেতে অর্থ হস্তান্তর তো নয়ই। ডিভি লটারির জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের একটি ওয়েবসাইটই আছে। সে সাইটটির ঠিকানা www.dvlottery.state.gov
এবার আসুন কয়েকটি বিষয় জেনে নেই-
০১. এই মেইলে অর্থ পাঠাতে বলা হয়েছে যুক্তরাজ্যের একটি ঠিকানায়, যেটি লন্ডনে অবস্থিত। প্রশ্ন হলো আপনি ডিভি পেলে যাবেন আমেরিকায় আর টাকা পাঠাতে হবে ভিন্ন একটি দেশে?
০২. 02. gov.states@usa.com ঠিকানাটি মার্কিন কোনো অফিসের ঠিকানা নয়। বিশ্বাস না হলে অনলাইনে usa.com ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে দেখুন। ওই সাইটের হোম পেজেই লেখা রয়েছে- ' USA.COM is a publication of World.com Media.'। এর মানে হলো এটি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান, সরকারি নয়।
০৩. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য একটি ফি দিতে হয় বটে, তবে সেটি সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমবাসিতেই দিতে হয়, কোনো অনলাইন মাধ্যমে নয়।
০৪. খেয়াল করে দেখুন, টাকা পাঠাতে বলা হয়েছে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে। আপনি না জানলেও বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংক এবং আমেরিকান দূতাবাস জানে যে, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের মাধ্যমে কেবল বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা গ্রহণ করা যায়, পাঠানো যায় না। এরপরও আমেরিকান কর্তৃপক্ষ এমন একটি অকার্যকর উপায় বেছে নেবে?
০৫. ই-মেইলের শেষ দিকে খেয়াল করে দেখুন লেখা রয়েছে, 'the visa is guaranteed upon receiving the payment.'। এর মনে হলো টাকা দিলেই আপনার ভিসা নিশ্চিত। আমেরিকান দূতাবাসের লোকজন কখনো আপনার ইন্টারভিউ না নিয়েই আপনাকে নিশ্চিত ভিসা দিয়ে দেবে, এটি কি বিশ্বাস হয় আপনার? তার ওপর আবার বলা হয়েছে, আপনা ভাই-বেরাদর আত্মীয়-স্বজন সবার ভিসাই আপনার ভিসার সঙ্গে দিয়ে দেয়া হবে যদি তারাও নির্দিষ্ট ফি দেয়।
পুরস্কার! পুরস্কার!! পুরস্কার!!!
ডিভি লটারির মতো বিশালভাবে না হলেও অনলাইন লটারির মাধ্যমে পুরস্কার জেতা নিয়েও মানুষের উন্মাদনাও কিন্তু কম নয়। আর তাই ইন্টারনেটের ফ্রি সফটওয়ার ডাউনলোড ওয়েবসাইটের বেশে এমনি সব অনলাইন পুরস্কার জেতার লোভ দেখিয়ে টাকা আদায় করে নেওয়ার প্রতারণাও চলছে বেশ ভালোভাবেই।
ডিভি লটারির মতো এখানেও প্রতারকদের হাতিয়ার ঐ স্প্যাম মেইল। এই সব মেইলে পুরস্কারের লোভনীয় সব প্রস্তাব এমনই আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা হয় যে যার কাছে মেইলটি পাঠানো হয়, সে এর লোভ কিছুতেই সামলাতে পারে না। ফলাফল অপরিচিত ঠিকানায় নিজের ক্রেডিট কার্ডের নাম্বর এবং পাসওয়ার্ড প্রেরণ এবং যথারীতি ধরা! অনেকসময় মোবাইলে এসএমএস পাঠানোর মাধ্যমেও চলে এসব জালিয়াতি। এসব ক্ষেত্রে প্রতারকদের ধরার সুযোগ অনেক সময় থাকলেও সাইবার অপরাধীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অবশ্য, বাংলাদেশে সাইবার অপরাধী শনাক্তে প্রতিটি নিরাপত্তা বিভাগে বিশেষ দল আছে। তবে, অনলাইন এসব প্রতারণা ঠেকাতে নিজের সচেতনতা দরকার সবচেয়ে আগে।
মানবিক আবেদনের সুযোগ
এখনকার কর্পোরেট দুনিয়ায় বিক্রি হয় সবই। মানুষের সূক্ষতম আবেগটিও বিক্রির তালিকা থেকে বাদ যায় না। তাহলে সাইবার বিশ্বই বা পিছিয়ে থাকবে কেন? তারাও মানুষের আবেগ ব্যবহার করে যথেষ্টই লাভবান হচ্ছে। এক্ষেত্রেই সুযোগের অপব্যবহার করছে প্রতারকেরা। মিথ্যা মানবিক সাহায্যের আবেদন করে ঠকাচ্ছে সরল মনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে। তাদের কৌশলের নমুনাটি এরকম: অজানা ঠিকানা থেকে পাঠানো মেইল এ মেইল মালিক নাইজেরিয়া, কেনিয়া, আইভরি কোস্ট, যুক্তরাষ্ট্র বা ইংল্যান্ডের কোনো হোটেলে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে উল্লেখ করে। তাতে বলা হয়, 'ছিনতাইকারীরা তার (মেইল মালিকের) ভিসা-পাসপোর্ট, কাগজপত্র, মোবাইল সেট নিয়ে গেছে। এখন টাকার অভাবে দেশে আসতে পারছেন না। তাই সাহায্যের প্রয়োজন।' ওই মেইলে একটি ঠিকানা দিয়ে ডলার পাঠাতে বলা হয়। এছাড়াও রয়েছে অন্যসব অভিনব কৌশলও। যেমন আফ্্িরকার কঙ্গো বা এ রকম কোনো যুদ্ধকবলিত দেশে আটক রয়েছেন কোনো তরুণী। তার পিতা ছিলেন কোনো ধনী ব্যবসায়ী বা আমলা। যুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছেন। এখন এ তরুণী তার অ্যাকাউন্টে থাকা বিশাল ডলারের সমুদ্র নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তা কোনো নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পাঠাতে হবে। পৃথিবীতে আপনি ছাড়া (ই-মেইলপ্রাপ্ত ব্যক্তি) আর কাউকে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না! এখন আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্ট তার জানা খুবই দরকার সাথে পাসওয়ার্ডও। একবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাদের আবেগঘন মেইলের সঙ্গে আবেদনময় ছবিও পাঠিয়ে দেয়।
প্রতারণার কৌশল
কম্পিউটার হ্যাকিং-ই এইসব প্রতারকদের মূল হাতিয়ার। ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সিমেনটেক-এর গবেষকরা বলছেন, হ্যকাররা এতোটাই এগিয়েছে যে, প্রতিনিয়ত স্প্যাম ছড়ানোর কাজটি তারা সুনিপুণ ভাবে করে যাচ্ছে। আর তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন অ্যান্টিভাইরাস তৈরি করতে হচ্ছে। জানা গেছে, হ্যাকার চক্রগুলো অ্যাকাউন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নামে আইডি ব্যবহার করে মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড চেয়ে মেইল পাঠায়। কেউ যদি হ্যাকারদের মেইলের জবাব দিয়ে পাল্টা মেইল করে তখন ঘটে যত বিপত্তি। পাল্টা মেইল পাওয়ার পর হ্যাকাররা প্রথমে পাসওয়ার্ড দিয়ে মেইল আইডি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নেয়। এবং ওখান থেকেই তাদের যত রকমের প্রতারণার কাজকর্ম চালায় তারা। এভাবই মূল প্রতারক আড়ালে থেকে নিরাপত্তা ব্যাবস্থাকে ক্রমাগত ধোঁকা দেয়।
আপনার নিরাপত্তা
এসব থেকে সুরক্ষা পেতে তাই সতর্ক হতে হবে। ব্রাউজিংয়ের ক্ষেত্রে ভেরিফাইড সাইটগুলো ছাড়া অন্যান্য সাইট ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। সবচেয়ে বেশি জরুরী হলো কোনো ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেখেই ক্লিক করে না বসা।
এ সবের পাশাপাশি যেসব সাইট ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার ছড়াতে পারে সেগুলো থেকে দূরে থাকারই পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। পর্নো সাইটগুলোতে ঢোকার ব্যাপারেও প্রয়োজন সচেতনতা। এসব ক্ষেত্রে ফায়ারওয়াল ব্যবহার করাটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। এ ছাড়াও নিজের তথ্যগুলো ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে আপনার পাসওয়ার্ডগুলোকে আরো বেশি শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন ইন্টারনেট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস-এর বিশেষজ্ঞ গ্রাহাম ক্লুলেই।
পাসওয়ার্ড সতর্কতা ছাড়াও নিরাপত্তা হিসেবে সাইবারবিশ্বে অ্যান্টিস্প্যাম এবং অ্যান্টিস্পাইওয়ার টুলের জনপ্রিয়তা এ কারণেই এখন তুঙ্গে। বিভিন্ন টুল ইনস্টল এবং অ্যান্টিভাইরাস ব্যাবহার প্রতারণার ফাঁদ এড়াতে সক্ষম হবে।
তবে, মনে রাখবেন, সবচেয়ে বড় রক্ষা কবজ হলো আপনার সচেতনতা।
শুভ ও নিরাপদ হোক আপনার অনলাইন অভিজ্ঞতা।
http://tech.bdnews24.com/details.php?shownewsid=1901
গাড়ির সঙ্গে কথা বলা যাবে। গাড়ি নিজেই জানিয়ে দেবে কোন পথে গেলে ট্রাফিক জ্যাম কম হবে বা কাছাকাছি পেট্রল পাম্পটির দূরত্ব কতো। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের গবেষকরা এমনই এক বাকপটু গাড়ি উদ্ভাবনের দাবি করেছেন। গবেষকদের দাবি, ভেহিক্যল ভয়েস কমিউনেকশন প্রযুক্তির এমন গাড়ি ২০১৩ সালেই রাস্তায় ছুটবে। খবর ডেইলি মেইল-এর।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কথা বলা প্রযুক্তির এমন গাড়ি হতে যাচ্ছে ফোর্ড ফোকাস। আর ফোর্ডের এই গাড়ি তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাইনাক। জানা গেছে, টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সঙ্গে মিলেই এই প্রযুক্তিটি তৈরি করেছেন ফোর্ড কর্তৃপক্ষ।
গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাইনাক-এর বিশেষজ্ঞদের দাবি, চালক তার গাড়িকে প্রয়োজনীয় প্রশ্নটি করে জেনে নিতে পারবে তার উত্তর। গাড়িকে প্রশ্ন করা হলে ১৯টি ভাষায় সে উত্তর দেবার ক্ষমতাও রয়েছে গাড়িটির।
জানা গেছে, এই গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৯টি ভাষার ১০ হাজারেরও বেশি কমান্ড। আর কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে গাড়ির অডিও, টেলিফোন এবং স্যাটন্যাভ পদ্ধতিও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, গাড়িটি কথা বলবে রোবোটিক নারীকণ্ঠ ব্যবহার করে।
ফোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জার্মানির অটো শোতে প্রদর্শিত এ প্রযুক্তিটি আগামী প্রজন্মের গাড়ি ফোর্ড ফোকাসের সঙ্গে পাওয়া যাবে। আলাদাভাবে ফোর্ড গাড়িতে ব্যবহৃত এই প্রযুক্তিটির ডিভাইসটির দাম ৩৫০ পাউন্ড।
টাকা নিয়ে সবার আক্ষেপ, যদি আরো থাকত তাহলে আরেকটু ভালোভাবে চলা যেত। কিন্তু ঠিক কত টাকা হলে কেমন চলা যেত, তা নিয়ে পুরোপুরি ধারণা হয়তো কারো নেই। তা না হলে বিশ্বের সেরা ধনীদের মধ্যে থেকেও কেন কেউ কেউ লোকাল বাসে চড়েন, আবার কেউ এক জোড়ার বেশি দুই জোড়া জুতা কেনেন না! আরো শুনুন_ রাসনা শারমিন মিথি
ওয়ারেন বাফেট
একালের গৌরী সেন
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের খাতায় তৃতীয় স্থানে থাকা ওয়ারেন বাফেটের বাড়িটি দেখলে ভাববেন, এ বুঝি সাধারণ কোনো চাকরিজীবীর বাড়ি। ব্যাংকে জমা আছে প্রায় ৪৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ৫০ বছর আগে ৩১ হাজার ৫০০ ডলারে কেনা বাড়িটি পাল্টাননি এখনো। বিলাসিতার ধারেকাছেও নেই তিনি। শৌখিন ধনকুবেরদের মতো নিজের কোনো ইয়ট নেই বাফেটের। এখন পর্যন্ত নাকি ভালো কোনো রেস্টুরেন্টেও খাননি। বিশ্বের অনেক দেশে যেতে হয় যখন-তখন। কিন্তু সেখানেও একই নিয়ম। দামি রেস্টুরেন্ট পছন্দ নয় বাফেটের। মজার ব্যাপার, বার্গার বা মুরগি ছাড়া অন্য কিছু খুব একটা খান না এই বিলিয়নেয়ার।
জনহিতৈষী বাফেট তাঁর সম্পদের ৮৫ শতাংশই পর্যায়ক্রমে দান করার ঘোষণা দিয়েছেন। বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও তিনি। বললেন, 'প্রয়োজন ছাড়া শুধু বিলাসিতার জন্য কেনা বস্তু আমার কাছে খেলনা মনে হয়। এসব বাড়তি ঝামেলা লাগে।'
একেবারে অল্প বয়স থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে চুইংগাম, পানীয় ও সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন বিক্রি করতেন বাফেট। কলেজে পড়ার সময় তাঁর দাদার সঙ্গে ব্যবসায় যোগ দেন। সে বয়স থেকেই স্টক মার্কেটের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় তার। কলেজ পাস করার সময় নিজের ঝুলিতে জমা হয় ৯০ হাজার পাউন্ড। তারপর তিন অংশীদারের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করলেও পরে একাই ব্যবসা শুরু করেন। একে একে বিনিয়োগ করতে থাকেন বড় বড় কম্পানিতে। ১৯৮৮ সালে বাফেটের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয় বিশ্বখ্যাত কোকা-কোলা কম্পানির ৭ শতাংশ শেয়ার।
নামে স্লিম, কাজেও
মেক্সিকোর ধনকুবের কার্লোস স্লিম এখন বিশ্বের এক নম্বর ধনী। একাধারে প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী ও জনহিতৈষী হিসেবে তাঁর নাম এখন তুঙ্গে। টেলমেক্স, টেলসেল ও আমেরিকা মোবিলের মালিক তিনি। মেক্সিকোর স্টক একচেঞ্জের ভাইস চেয়ারম্যানও। মোট সম্পদ ৫৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ধনী হওয়ার আগে পাত্তাই ছিল না কার্লোসের। কেননা তাঁর লাইফস্টাইল ছিল একেবারে আটপৌরে, মধ্যবিত্তের মতো। ২৬ বছর বয়সে জমা করেছিলেন চার কোটি ডলার। তবে বিলাসিতা ছিল না। অন্যদের মতো নিজের কোনো ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ নেই তাঁর। ৪০ বছর ধরে আছেন পুরনো বাড়িতেই।
মিতব্যয়ী কাম্প্রাড
ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে সুইডিশ ব্যবসায়ী ইঙ্গভার কাম্প্রাড এখন বিশ্বের একাদশ ধনী। কিন্তু তাতে কি! ব্যবসার প্রয়োজনেও কখনো দামি গাড়িতে চড়েননি। থাকেননি কোনো দামি হোটেলেও। ব্যবসার কাজে কোথাও যাওয়ার দরকার হলে যেতেন লোকাল বাসে। কদাচিৎ চালাতেন নিজের ১৫ বছরের পুরনো গাড়ি। উড়োজাহাজে উঠলে ইকোনমি ক্লাস। আর খাবারটাও যে সাধারণ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ব্যবসায় কাম্প্রাডের হাতেখড়ি হয় খুব অল্প বয়সে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাইসাইকেল চালিয়ে দেশলাই বিক্রি করতেন। এতে ভালোই লাভ হতো। এভাবে অল্প অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু হয় পথচলা। এরপর শুরু করেন মাছ, পেনসিল, বলপয়েন্ট কলম, ক্রিসমাস গাছ সাজানোর উপকরণ বিক্রি। ১৭ বছর বয়সে বাবা তাঁকে কিছু নগদ টাকা ধরিয়ে দিলে আরো এগিয়ে যেতে থাকেন। সেই টাকার সঙ্গে নিজের জমানো টাকা মিলিয়ে শুরু করেন ফার্নিচার কম্পানি আইকিয়ার পথচলা। অপচয় রোধ করতে কম্পানির সব কর্মচারীকে উৎসাহিত করতেন কাগজের উভয় পাশে লেখার জন্য।
ফিনি
এক জোড়া জুতা
ডিউটি ফ্রি শপারস গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করে আইরিশ আমেরিকান শিল্পপতি ফিনি কোটিপতি হয়েছেন বড় দ্রুত। কিন্তু এতেও তাঁর চলাফেরায় আসেনি পরিবর্তন। সব সময় বলেন, 'একটি কথা সব সময় আমার মনে গেঁথে থাকবে, তা হচ্ছে_তোমাদের উচিত দরিদ্রদের জন্য সম্পদ ব্যবহার করা। আমিও চেষ্টা করি সাধারণ জীবন যাপনের। আমি
ওভাবেই বড় হয়েছি। বেশি কাজ করাই আমার লক্ষ্য; ধনী হওয়া নয়।'
অঢেল টাকা খরচ করেন জনসেবায়। বিভিন্ন স্কুল গবেষণাগার ও হাসপাতালে দিয়ে যাচ্ছেন হাত খুলে। তবে নিজে এখনো পাবলিক বাসে চলছেন। পোশাক কেনেন সাধারণ শপিং মল থেকে। জুতা কেনেন না এক জোড়ার বেশি। তাঁর মতে, এক জোড়া জুতায়ই তো চলে যায় বেশ, আবার আরেকটা কিনে অপচয় করার কী দরকার? এভাবেই গড়ে তুলছেন সন্তানদেরও। তাঁর ছেলেমেয়েরা গ্রীষ্মের ছুটিতে কাজ করে সারা বছরের খরচটা নিজেরাই তুলে আনে।
ফ্রেডারিক মেইজার
পয়সা নষ্ট নয়
ব্যাংকে জমা আছে ৫০০ কোটি ডলার। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই তাঁর আছে বড় ১৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ২০০৯ সালে যখন সব ধনীর একে একে পতন হয়েছিল, তখন শুধু মেইজারেরই অবস্থান ছিল অটল। বাফেটের মতোই তিনিও বেশ মিতব্যয়ী। একটি গাড়ি কিনলে তা নষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন গাড়ি কেনেন না।
এ নিয়ে পর পর তিনবার বিলিয়নেয়ারের খাতায় নাম এসেছে তাঁর। কিন্তু যে বাড়িতে থাকেন, তার বাজারদর মোটে তিন লাখ ডলার। দামি কোনো ব্র্যান্ডের পোশাকও পরতে দেখা যায় না। কারণ ধনী কি না তা বোঝানোর জন্য পয়সা নষ্ট করতে নারাজ মেইজার।